Thursday, October 23, 2025

যে জেলায় এইডস্ রোগীদের সংখ্যা বেড়েই চলছে, রেড জোন ঘোষণা

আরও পড়ুন

এবার সিরাজগঞ্জে উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে এইচআইভি পজিটিভ রোগীর সংখ্যা। জেলায় ২৫৫ পজিটিভ রোগী পাওয়া গেছে; যার মধ্যে অধিকাংশই ইনজেকশনে ড্রাগ ব্যবহারকারী। সিরাজগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের এইচআইভি সেন্টারের তথ্য মতে, পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত থেকে অবৈধভাবে আসা নিষিদ্ধ নেশা জাতীয় ইনজেকশনের মাধ্যমে এই রোগ বেশি ছাড়াচ্ছে। আক্রন্তদের বিনামূল্যে চিকিৎসা ও ওষুধের পাশাপাশি কাউন্সিলিং করা হচ্ছে। আর মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর বলছে ইনজেকশনে ড্রাগের ব্যবহার কমাতে নিয়মিত অভিযানে পাশাপাশি বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে।

আরও পড়ুনঃ  রাকসু নির্বাচনে লড়বেন দৃষ্টি প্রতিবন্ধী নাঈম হোসেন

সিরাজগঞ্জের হাসপাতালের এআরটি সেন্টারের কাউন্সিলর কাম এ্যাডমিনিস্টেটর মাসুদ রানা জানান, পরিসংখ্যানে দেখা যায়, আক্রান্ত ২৫৫ জনের মধ্যে ইনজেকশনে ড্রাগ ব্যবহারকারী ১৮৭ জন। কলেজ ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ২৯ জন। সাধারণ ৩৫ ও যৌনকর্মী চারজন। এ ছাড়া সেন্টারের চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন ২৬ জন। অনেকে বুঝে আবার অনেকে না বুঝে নেশা জাতীয় এসব ইনজেকশন গ্রহণের সুই বা সিরিঞ্জ একে অপরের সঙ্গে শেয়ার করছেন। এতে দ্রুত এইডসের ভাইরাস একজন থেকে অন্যজনে ছড়িয়ে পড়ছে। তবে আক্রান্তরা এআরটি সেন্টার থেকে নিয়মিত বিনামূল্যে ওষুধ ও চিকিৎসা সেবা পেয়ে অনেকটাই ভালো আছে বলে জানান মাসুদ রানা।

আরও পড়ুনঃ  মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে যে ভয়াবহ কাণ্ড ঘটল মৃত তরুণীর সঙ্গে

সিরাজগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আকিকুন নাহার বলেন, সমাজের নিম্নআয়ের মানুষরাই বেশি ইনজেকটিভ ড্রাগ শেয়ারিং করে ব্যবহার করছেন। ফলে এদের মধ্যেই বেশি এইচআইভি পজেটিভ পাওয়া যাচ্ছে। তবে আক্রান্তদের চিকিৎসা সেবার পাশাপাশি তাদের মনোবল বাড়ালে কাউসিলিং করা হচ্ছে। তবে ইনজেকশনে ড্রাগ ব্যবহার কমাতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে আরও কঠোর হতে হবে বলেও জানান তিনি।

আর সিরাজগঞ্জ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক এইচ এম মোস্তাফিজুর রহমান জানান, অবৈধ নেশা বেচাকেনায় জড়িতদের আটকে নিয়মিত অভিযানে পাশাপাশি বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের তথ্য মতে, গত ২ বছরে বিভিন্ন অভিযানে প্রায় ১৯০০ অ্যাম্পুল ইনজেকশন ড্রাগ জব্দ করা হয়েছে।

আপনার মতামত লিখুনঃ

আরও পড়ুন

সর্বশেষ সংবাদ